১৩-১২-১৭ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- স্মরণে যখন বসবে চোখ খুলে বসো কারণ তোমাদের খাওয়া দাওয়া করতে , চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ করতে হবে"
প্রশ্ন:-
ভগবানকে খুঁজতে মানুষ পদে পদে ধাক্কা কেন খায় -- তার কারণ কি ?
উত্তর:-
কারণ মানুষ ভগবানকে সর্বব্যাপী বলে অনেক ধাক্কা খাইয়েছে। সর্বব্যাপী হলে ভগবানকে কোথায় পাওয়া যাবে ? তারপর আবার বলে পরমাত্মা হলেন নাম-রূপ বিহীন। যদি নাম রূপ না-ই থাকে তাহলে কাকে খুঁজবে এবং কিভাবে? তাই পদে পদে ধাক্কা খায়। বাচ্চারা তোমাদের ঘোরাঘুরি এখন বন্ধ হয়েছে। তোমরা নিশ্চয়ের সাথে বলো -- বাবা পরম ধাম থেকে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে এই দেহের দ্বারা কথা বলেন। বাকি নাম রূপ বিহীন কোনো বস্তু হয়না ।
ওমশান্তি।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা বাবার স্মরণে বসে আছে। এই কথাটি কে বলেছে এবং কখন ? সব আত্মাদের পিতা নিজের আত্মা বাচ্চাদের বলেছেন । আত্মারা এই দেহের দ্বারা শুনছে যে বাবা কি বলছেন ? বাবা বলছেন , নিজের পিতাকে কি স্মরণ করো ? পিতাকে স্মরণ করতে চোখ বন্ধ করতে হয় কি ? বাচ্চারা যখন পিতাকে স্মরণ করে তখন চোখ তো খুলেই রাখে। উঠতে বসতে, চলতে ফিরতে বাচ্চাদের বাবার স্মরণ থাকে। চোখ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। আত্মা জানে যে আমার পিতা এই দেহের সাহায্যে আমার সঙ্গে কথা বলেন। পরম ধাম থেকে এসেছেন, এই পতিত দুনিয়াকে নতুন দুনিয়ায় পরিণত করতে। এইসব তো বুদ্ধিতে আছে, চোখ তো খোলা থাকে । বাবা কথা বলেন, তোমরা শুনছ আর স্মরণও করছ। কে শোনাচ্ছেন ? পরম পিতা পরমাত্মা। ওঁনার নাম কি ? যেমন তোমাদের দেহের নাম থাকে, যে নাম পরিবর্তন হতে থাকে। এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহে , আবার অন্য দেহের নামও অন্য থাকবে। আত্মার নাম কখনও বদলায়না। বাবা বলেন আমিও আত্মা , তুমিও আত্মা। আমি পরম ধাম নিবাসী পরম আত্মা , তাই সুপ্রিম আত্মা বলে। সুপ্রিম উঁচু থেকে উঁচু কে বলা হয়। উঁচু আত্মাও হয় আবার নীচ আত্মাও হয়। কেউ হয় পুণ্য আত্মা , কেউ পাপ আত্মা। বাবা বলেন -- আমি আত্মা আমার সদা একটি নাম থাকে সেই নাম হল শিব। নাম তো নিশ্চয়ই চাই তাইনা। অজ্ঞানতার কারণে বলে দেয় নাম রূপ বিহীন। কিন্তু নাম রূপ বিহীন কোনো কিছু হয়না। যেমন আকাশ , কোনো স্থূল বস্তু নয় , শুধু শূন্য , মহাশূন্য। তার নাম হল আকাশ। খুবই সূক্ষ্ম তত্ব। আচ্ছা , তার উপরে দেবতাদের বাস , সে স্থানও শূন্য। আকাশে বিরাজিত। তার চেয়েও উপরে আরেকটি আকাশ , সেখানেও আছে আত্মাদের বসার স্থান। সেই স্থানটিও আকাশ , যাকে ব্রহ্ম তত্ব বলা হয়। এই হল তিনটি তত্ব -- স্থূল , সূক্ষ্ম , মূল। আত্মারা তো নিশ্চয় মহাশূন্যে বাস করবে তাইনা। তাহলে তিনটি আকাশ হয়ে গেল কিনা। এই আকাশেই খেলা হয় তাই আলো নিশ্চয়ই চাই। মূল বতনে কোনো খেলা হয়না , তার নাম ব্রহ্ম তত্ব। সেখানে আত্মারা বাস করে। উঁচু থেকে উঁচুতে অবস্থিত তিন লোক বা ত্রিলোক অর্থাৎ দুনিয়ার তিনটি তলা। এমন নয় সাগরের গভীরে কোনো লোক বা স্থান আছে। জলের তলায় পৃথিবী আছে , যার উপরে জল টিকে থাকে। সুতরাং এই হল তিন লোক। সাইলেন্স, মুভি ও টকি। এইসব কথা শিববাবা বসে বোঝাচ্ছেন। শিববাবাকে কি চোখ বন্ধ করে স্মরণ করতে হবে ? না। অন্যরা কেন চোখ বন্ধ করে ? কারণ চোখ ধোঁকা দেয়।
মানুষ নিজেরাই বলে পরমাত্মা নাম রূপ বিহীন। তারপরে আবার বলে নুড়ি পাথরে সবেতেই ভগবান বিদ্যমান। ভগবানের ২৪ টি অবতার রয়েছে। কুর্ম অবতার, মৎস্য অবতার ইত্যাদি। বাস্তবে সবই হল মিথ্যা । ভগবানকে সর্বব্যাপী বলে কত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ভক্তি মার্গ হল ঠোকর খাওয়ার মার্গ। তারা আমাকেও কত ঠোকর খাওয়ায়। ভক্তরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে আমাদের ভক্তি থেকে এই ধাক্কা খাওয়া থেকে মুক্ত করো। যখন এখানে এসে সাক্ষাৎকার করে তখন বলে বাবা আমরা তোমাকে কত খুঁজেছি। অনেক ঠোকর খেয়েছি ধাক্কা খেয়েছি তবু তোমাকে পাইনি। আরে কবে থেকে ধাক্কা খাচ্ছ ? সে কথা তো জানা নেই বাবা । এখন বাবা বোঝাচ্ছেন জ্ঞানের দ্বারা-ই সদগতি হয়। মানুষ কুম্ভের মেলায় ধাক্কা খেতে যায়। যেখানে জল থাকবে সেখানেই স্নান করবে। কুম্ভ অর্থাৎ সঙ্গম। আসলে হল আত্মা ও পরমাত্মার মেলা। কিন্তু ভক্তিতে সাগর ও নদীর মেলা করে দিয়েছে। দেশ দেশান্তরে মেলার আয়োজন হয়। সেসব হল জলে স্নান করার মেলা। অনেকে এই কথায় বিশ্বাস করে। অনেকে করেনা। অনেকে না ভক্তি কে বিশ্বাস করে , না জ্ঞান কে। মানুষ জন্ম নেয় আর মরে । এই হল প্রকৃতি। অনেক মতামত আছে। একই বাড়িতে স্ত্রী ও পুরুষের মতামত আলাদা হয়ে যায়। একজন পবিত্রতাকে মানবে আরেকজন মানবেনা। এখন তোমরা শ্রীমৎ প্রাপ্ত কর। গায়নও আছে -- শ্রীমৎ ভগবানুবাচ। ওঁনার শ্রীমৎ দ্বারা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হয়। দেবতা ধর্ম এখন নেই। প্রতীকচিহ্ন রূপে চিত্র গুলি রয়েছে যার দ্বারা প্রমাণ হয় যে দেবতারা রাজত্ব করে গেছে। সবচেয়ে পুরাতন বস্তু হল দেবী দেবতাদের। লর্ড কৃষ্ণ বলা হয় বা বলা হয় গড শ্রী নারায়ণ। তোমরা জানো লক্ষ্মী নারায়ণের রাজত্ব ছিল যাকে বৈকুণ্ঠ বলা হয়। শ্রী কৃষ্ণ বৈকুণ্ঠের মালিক ছিলেন , সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন তাহলে সে-ই কৃষ্ণ দ্বাপরে কিভাবে গেলেন ? সেই একই নাম রূপ ধারণ করে তো যাবেন না। শ্রী কৃষ্ণ যে চৈতন্য রূপে ছিলেন সেই রূপের জড় চিত্র এখানে আছে। কিন্তু সেই আত্মা কোথায় ? সেই কথা কেউ জানেনা। বাবা বলেন -- আত্মা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে এখন এইখানে পার্ট প্লে করছে। ভিন্ন নাম রূপ , দেশ, কালের বিভিন্ন পার্ট প্লে করে এসেছে। আত্মা নিজেই বলে আমি এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি। নাম রূপ , দেশ, কাল, মিত্র আত্মীয় স্বজন সব আলাদা । অন্য জন্মে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
তোমরা জানো এখন আমরা পড়ছি। তারপর আমরা-ই দেবী দেবতায় পরিণত হব। সূর্যবংশে ৮ জন্ম গ্রহণ করব। এক শরীর ত্যাগ করে অন্য ধারণ করব। সেখানে গর্ভ জেল নয় , গর্ভ মহল থাকবে। এখানে গর্ভ জেলে অনেক দন্ড ভোগ করতে হয়। দুঃখ হয় তবেই বলে এবারে বাইরে বের কর। আর কোনো পাপ করবনা। কিন্তু বাইরে মায়ার রাজ্য হওয়ার দরুন পুনরায় পাপ করতে আরম্ভ করে। সেখানে গর্ভ মহলে আরামের সঙ্গে থাকে। তাই বাবা বলেন সব বেদ শাস্ত্র ইত্যাদির সার তত্ব আমি তোমাদের বোঝাই। আচ্ছা বাবা কুম্ভ মেলায় বোঝান অনেকে স্নান করতে যায়। অনেক ভিড় হবে। এলাহাবাদে ত্রিবেণী স্থলে মেলার আয়োজন হয়। এবারে সেই স্থল কোনো সঙ্গম তো নয়। সঙ্গম হওয়া উচিত সাগর ও নদীর। এই স্থল টি তো নদীর সঙ্গম। দুটি নদীর সঙ্গম। তারা বলে তৃতীয় নদী টি গুপ্ত রূপে অবস্থিত। গুপ্ত নদী তো হয়না। দুটি নদী আছে। দৃশ্যমান দুটি নদী। একটি নদীর জল সাদা আরেকটির ঘোলাটে , অন্য তৃতীয় কোনো নদী নেই। গঙ্গা ও যমুনা আছে। তৃতীয় নদী নেই। এই কথাটিও মিথ্যা হল কিনা। সঙ্গম নয়। কলকাতায় সাগর এবং ব্রহ্মপুত্রের মিলন হয়। নৌকায় বসে ঐ পারে যেতে হয় , সেখানে মেলার আয়োজন হয়। কত পরিশ্রম করে। অমর নাথে তীর্থ যাত্রা করতে যায় , সেখানেও শিবলিঙ্গ রয়েছে। সেইটি ঘরেও তো রাখা যায়। তাহলে সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়না, ধাক্কা খাওয়াও ড্রামায় অন্তর্ভুক্ত আছে। ত্রিবেণী স্থলে যায় , ভাবে সেই স্থল পতিত পাবনী। কারো এই কথা জানা নেই যে নদীর উৎস কোথায়। পাহাড় থেকে নেমে আসে। কিন্তু জল তো সাগরে আছে। মেঘ বর্ষণ হয় ফলে উঁচু পাহাড়ে জমে বরফে পরিণত হয় । তারপর সূর্যের তাপে যখন বরফ গলতে আরম্ভ হয় তখন জল একত্রিত হয়ে নদী তে পরিণত হয়। এবার বিচার করো যে পতিত পাবন হল পরম পিতা পরমাত্মা জ্ঞানের সাগর বা জ্ঞানের নদী ? অথবা জলের সাগর ও নদীরা ? ঘোর অন্ধকারে অনেক ধাক্কা খায়। এবারে তাদের কিভাবে বোঝান যায় যে এই বৃষ্টির জল সমষ্টি পতিত পাবন নয়। মেঘ থেকে জল পড়ে , মেঘে আবার সাগরের জল বাষ্পীভূত হয়ে জমা হয়। জলকে পতিত পাবনী বলা যাবে না। গায়নও আছে পতিত পাবন সীতারাম , হে পতিত পাবন আসুন। আত্মারা বলে হে পতিতদের পবিত্রকারী বাবা দয়া করুন।
বাবা বোঝান -- ভক্তির ধাক্কা খেয়ে কেউ পবিত্র হয়না। এই নদী গুলি তো অনাদি রূপে আছে। জল ,পান করার জন্যে ও কৃষি কার্য করার জন্যে ব্যবহৃত হয়। এই জল পবিত্র করবে কিভাবে? এখন এই হল তোমাদের শেষ জন্ম। আমি আসি তোমাদের পবিত্র করতে। সত্যযুগে পবিত্র ছিল। এখন হয়েছে পতিত দুনিয়া। যারা পবিত্র ছিল তারা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে পতিত হয়েছে তাই পুনরায় পবিত্র হতে বাবাকে আহবান করে। অর্ধকল্প অবনমন কলা হয়েছে। ভারত সত্যযুগে সুখী ছিল , পবিত্র ছিল। এখন দুঃখে আছে কারণ পতিত হয়েছে তাই আহবান করে , ও গড ফাদার , তারপরে বলে দেয় ওঁনার নাম রূপ নেই। তাহলে কাঁর আহবান করা হয়? এইসব বোঝেনা যে বলা হয় আত্মা হল স্টার সম। উজ্জ্বল এক নক্ষত্র সম। আত্মা হল সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ। তিলক লাগানো হয় ঐস্থানে এবং বলে দেয় ভ্রুকুটির মধ্যিখানে জ্বলজ্বল করে এক নক্ষত্র... অতএব এই সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ আত্মাতে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট ভরা আছে। সেসব কখনও মিটবেনা। এই সম্পূর্ণ নাটক টি হল অবিনাশী। চক্র ঘুরতেই থাকে। এমন নয় যে সৃষ্টি এক জায়গায় স্থির রয়েছে। আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম পূর্বে ছিল , এখন নেই। যখন থাকবেনা তখনই তো আমি আসি। আমি এসে পুনরায় দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি। অর্থাৎ চক্র ঘুরছে । হিস্ট্রি জিওগ্রাফি রিপিট হয়। সত্যযুগে সূর্যববংশ রাজত্ব ছিল। ত্রেতায় চন্দ্রবংশী এখন তোমরা আবার ৮৪ জন্মের কথা জেনেছ তাইনা। আমরা কিভাবে উত্তরণ কলায় আসি। বাবা সব বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দেন। এমন বলেন না যে চোখ বন্ধ করে আমায় স্মরণ করো। চলতে ফিরতে আমায় স্মরণ করতে হবে। চোখ বন্ধ করে তোমরা খাবার খাও কি ? মুখে মাছি চলে যাবে।
বাচ্চারা তোমাদের আত্মা জানে যে বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। কৃষ্ণ তো মানুষ ছিলেন ওনাকে ভগবান বলা হবে কিভাবে । বাবা বলেন -- এখন আমায় স্মরণ করো তাহলেই তোমরা পবিত্র হবে। মানুষ যত দিন যাত্রা করে ততদিন পবিত্র থাকে। ঘরে ফিরে এলে আবার পতিত হয়ে যায়। তোমাদের হল রূহানী যাত্রা , যে যাত্রাটি বাবা করান। বাবা বলেন -- তোমাদের অমরলোকে যেতে হবে তাই আমায় স্মরণ করো। আত্মা পবিত্র হলেই তোমরা উড়তে পারবে। অন্তের মতি সেইটিই হবে গতি। বাবার শ্রীমৎ দ্বারা সদগতি প্রাপ্ত হয়। শ্রীমৎ বলে যে আত্মারা মামেকম স্মরণ কর তাহলে খাদ বেরিয়ে যাবে এবং তোমরা মুক্তিধাম যাবে , তারপর জীবনমুক্তিতে আসবে। এই চক্র কে বুঝলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হবে। সত্যযুগে ত্রেতায় তোমরা পবিত্র ছিলে তাই বাবা জিজ্ঞাসা তো করবেন যে তোমাদের পতিত কে করেছে ? এইসব এখন তোমরা বাচ্চারাই জানো যে যখন থেকে রাবণ রাজ্য আরম্ভ হয় তখন থেকে পতিতে পরিণত হওয়া আরম্ভ হয়। অর্ধকল্প শেষ হলে দুনিয়া পুরানো হয়ে যায়। অতএব তোমাদের সুখের দুনিয়া প্রাপ্ত হওয়া উচিত। সেসবও আমিই এসে প্রদান করি। আমি তোমাদের পবিত্র করি , রাবণ তোমাদের পতিত করে। আমি স্বর্গের অধিকার প্রদান করি , রাবণ অভিশাপ দেয়। এইটাই হল খেলা। রাবণ হল তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। তার প্রতিমূর্তি তৈরি করে দহন করে। কখনও দেখেছ যে শিবের চিত্র দহন করছে ? না । শিব হলেন নিরাকার। রাম সুখ প্রদানকারী, ওনাকে কিভাবে দহন করবে ? দুঃখদায়ী হল রাবণ , তাই বলে অনাদি কাল থেকে রাবণ দহন করা হয়। তবে কি শুরু থেকেই রাবণের রাজত্ব ছিল ? রাম রাজ্য কখনও কি হয়নি ? এই সব বোঝাতে হয়। রাবণ রাজ্য কবে থেকে আরম্ভ হয়েছে , সেসব কেউ জানেনা। অর্ধকল্প থেকে আরম্ভ হয়। তোমরা সবাই দ্রৌপদী , তোমরা ডাকো -- বাবা আমাদের রক্ষা করুন। আরে তোমরা বলো যে আমাদের পতিত হওয়ার নেই। সাহস চাই, নষ্ট মোহ হতে হবে। আমি তখন শরণ দেব যখন তোমরা নষ্ট মোহ হবে। আমার তো একমাত্র শিববাবা অন্য কেউ নয় । স্বামী, সন্তানকে স্মরণ করলে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবেনা। গৃহস্থে থেকে বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্নেহপূর্ন স্মরণ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. শ্রীমৎ অনুসারে সবাইকে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দিতে হবে। পতিত পাবন বাবার পরিচয় দেওয়ার যুক্তি রচনা করতে হবে।
২. বাবার কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করতে অথবা বাবার শরণে আসার জন্য সম্পূর্ণ নষ্ট মোহ হতে হবে। চোখ খুলে বাবাকে স্মরণ করার অভ্যাস করতে হবে।
বরদান:-
বাবার ছত্রছায়ার নীচে থেকে মায়ার ছায়া থেকে সুরক্ষিত থাকে এমন সদা খুশী এবং চিন্তা মুক্ত (বেফিকর) হও ।
মায়ার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল -- বাবার ছত্রছায়া। ছত্রছায়ায় থাকা অর্থাৎ খুশীতে থাকা। সব চিন্তা বাবাকে দিয়ে দেওয়া। যাদের খুশী হারিয়ে যায় , দুর্বল হয়ে যায় তাদের উপরে মায়ার ছায়ার প্রভাব পড়ে যায় কেননা দুর্বলতা মায়াকে আহ্বান করে। যদি স্বপ্নেও মায়ার ছায়া পড়ে যায় তাহলে অস্থিরতা অনুভব হবে, যুদ্ধ করতে হবে তাই সর্বদা বাবার ছত্রছায়ার নীচে থাকো। স্মরণ-ই হল ছত্রছায়া।
স্লোগান:-
যারা মুরলিকে ভালোবাসে তারা-ই হল মুরলিধর |
No comments:
Post a Comment